মুরাদনগর, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দৌলতপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ী থেকে নিখোঁজ হওয়া রেশমা আক্তারকে উদ্বার করেছে পুলিশ। বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ রোববার রাতে চট্রগ্রামের রাজাখালী, জামাই বাজার থেকে তাকে উদ্ধার করে ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ শে জুলাই দৌলতপুর স্বামীর বাড়ী থেকে বাবার বাড়ী মোচাগড়া যাওয়ার পথে রেশমা আক্তার নিখোজ হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করে না পেয়ে ৮ই আগষ্ট বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি নিখোজ ডায়রি করেন রেশমা আক্তারের স্বামী নাছির খান। অভিযোগের সূত্র ধরে রেশমাকে খুজে পেতে কাজ শুরু করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।
গত ২৪ শে সেপ্টেম্বর একই উপজেলায় কুড়াখাল গ্রামে একটি অজ্ঞাত যুবতির লাশ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে রেশমার মা বাবাসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ছুটে আসেন থানায়, এসে অজ্ঞাত যুবতীর লাশটি তাদের মেয়ে রেশমা আক্তারের বলে সনাক্ত করেন। কিন্তু বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরিক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ডিএনএ পরিক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জীবিত উদ্ধার হল গৃহবধু রেশমা আক্তার।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শ্বশুর বাড়ী থেকে নিখোজ হওয়া রেশমা আক্তার কোন মোবাইল ব্যবহার না করায় তাকে খুজে পেতে কষ্ট পোহাতে হয়েছে। ভিকটিম প্রথম একমাস মুরাদনগরে ছিল সেখান থেকে সে কুমিল্লা চলে যায়। গত তিন দিন আগে কুমিল্লা থেকে চট্রগ্রামের রাজাখালী জামাই বাজার নামক স্থানে যায়। সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে রেশমা আক্তার কে আমরা সেখান থেকে উদ্ধার করি। তার নিখোজ হওয়ার বিষয়ে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা আমরা উদঘাটন করার চেষ্টা করছি।
সিএন/৯০