মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
নিষেধাজ্ঞা সত্বেও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জবরদখলকৃত জমিতে বিরতিহীন ভাবে চলছে নির্মাণ কাজ। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের হাটবলিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন জবরদখল কারী নাজির হোসেনের খুঁটির জোর কোথায় জানতে চায়?
সরেজমিনে জানা যায়, হাটবলীবাড়ী গ্রামের মৃত হুমায়ুন কবীর ভুইয়ার স্ত্রী বিলকিছ বেগমকে মামলার ভয় দেখিয়ে ১২ শতক জমি দখল করে নেয় একই গ্রামের মৃত মঙ্গল সরকারের ছেলে নাজির হোসেন। জমিটি হচ্ছে, বাঙ্গরা বাজার থানাধীন হায়দরাবাদ মৌজার সি-এস ২৭৭, আর-এস ২৮৮, বি-এস ৪০৬ খতিয়ানের সাবেক ২৭২৩ ও হালে ৬৫৪৩ দাগের ৩৩ শতক আন্দরে দক্ষিনাংশের ১২ শতক ভূমি। নাজির হোসেন রাতারাতি মাটি দিয়ে জমিটি ভরাট করে ঘরও তুলেছেন। খবর পেয়ে জমিটির দখল ফিরে পাবার আশায় জমিটির মালিক বিলকিছ বেগম কুমিল্লার বিজ্ঞ মুরাদনগর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন (নং ১৩৫/২০২৩)। আদালতের বিজ্ঞ জজ ওই জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নাজির হোসেনকে কপি দিলেও তিনি রাতদিন ওই জায়গায় বিরতিহীন ভাবে কাজ করেই যাচ্ছেন। পরে বিজ্ঞ আদালতের সহকারী জজ জমির মালিক আয়শা বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে দেওয়ানী কার্য্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশের ৭নং বিধিমতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিভিল কোট কমিশনার কাজী মো. জাকির হোসেনকে এডভোকেট কমিশনার নিয়োগ দেন। তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করে জবর দখলকৃত জায়গাটির বাস্তব চিত্র তুলে ধরে সহকারী জজ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং জবানন্দি দেন। মামলার বাদী বিলকিছ বেগম বিজ্ঞ আদালতের কাছে ন্যায় বিচার কামনা করেন।
হাটবলীবাড়ী গ্রামের হাজী আবদুল হাকিম, হাজী শাহজাহান ভুইয়া, ইদ্রিস মিয়া, আবদুল কাদির ও মানিক মিয়া বলেন, স্থিতিবস্থার নোটিশ পেয়েও আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কটুক্তি করে জমির জবর দখলকারী নাজির হোসেন নালিশী ভূমিতে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। সে বিচ্ছৃংখলা সৃষ্টি করে এলাকায় এাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তার খুঁটির জোর কোথায় আমরা জানতে চাই?
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাজির হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সিএন/৯০