দেবীদ্বার, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
আর মাত্র তিন মাস পর অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বারে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের প্রার্থীরা সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ ও বিভিন্নভাবে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। তবে এলাকার উন্নয়নসহ বিভিন্ন কাজে কোন প্রার্থী বিজয়ী হলে বেশি অবদান রাখতে পারবেন সেদিকে দৃষ্টি রাখছেন সর্বস্তরের মানুষ। এদিকে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এই উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ তিন ভাগে বিভক্ত। ক্ষমতাসীনদের বিভক্ত তিন নেতাসহ দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চায় ছয়জন। তবে যেই দলীয় প্রতীক পাবে, তার পক্ষ হয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন দুইজন। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক প্রত্যাশীরা হলেন, দেবীদ্বারের বর্তমান সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রোশন আলী মাস্টার, সাবেক মন্ত্রী এবিএম গোলাম মোস্তফা পুত্র বিশ্ব ব্যাংকের কৃষি ও অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইফতেখার মোস্তফা, দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক শাখার সভাপতি ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার, কুমিল্লা উত্তর জেল আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সাজেদা আক্তার মায়া।
রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির প্রার্থী দুই জন। তাদের মধ্যেও আছে গ্রুপিং কোন্দল। বিএনপির দলীয় প্রতীক প্রত্যাশীরা হলেন, এই আসনের চার বারের সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জরুল আহসান মুন্সি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এফএম তারেক মুন্সি। তবে তাদের দুজনকে এখন পর্যন্ত জনসংযোগ বা নির্বাচনী সভা করতে দেখা যায়নি। দুজনেই দলের নিজ নিজ কর্মী-সমর্থক নিয়ে একক ভাবে গণতন্ত্রপূর্ণ উদ্ধারের দাবিসহ অন্যান্য দাবি-দাবা নিয়ে সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে আসছেন। বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মঞ্জরুল আহসান মুন্সি দলীয় প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে! তারেক মুন্সি এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।
এদিকে এই আসনে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থান নড়বড়ে। কর্মী-সমর্থকরা দুই কেন্দ্রীয় নেতার অনুসারী। তারা দুইজনে দলীয় প্রার্থী হতে চান। জাপার দলীয় প্রতীক প্রত্যাশীরা হলেন, জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জাপার সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু এবং কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট ইউসুফ আজগর। এর আগে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহিদ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)'র চেয়ারম্যান আইভি রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার কমরেড পরশ কর, কুমিল্লা উত্তর জেলা জাকের পার্টির আহবায়ক আব্দুল হালিম এবং কুমিল্লা জেলা ইনসানিয়া বিপ্লবরে আহবায়ক ইরফানুল হক সরকার প্রার্থী আলোচনায় রয়েছে।
সিএন/৯০