রাকিব হোসেন।।
চৌদ্দগ্রামের মিয়া বাজার এলাকার শিবপুর গ্রামে সম্পত্তি বিরোধের জেরে ইব্রাহিম খলিলের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার।
আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে নিহত পরিবারের পক্ষে তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ১০ নভেম্বর শুক্রবার আনুমানিক রাত ১টায় শিবের বাজার এলাকায় তার ভাতিজা হাসানের বৌ-ভাতের রান্না শেষে বাড়ি ফিরে এসে তার স্ত্রীকে বলেন, যে জমি নিয়ে বিরোধ সেখানে রফিকুল ইসলাম সহ ৫-৬ জন লোক ঘুরাঘুরি করতেছে। এ কথা বলে ইব্রাহীম খলিল প্রতিদিনের মতো মাছ ধরার জন্য বের হয়ে যায়।
পরদিন ১১ নভেম্বর শনিবার ভোর ৬ টায় শিবপুর গ্রামে তাদের নিজস্ব ধানের জমিতে ইব্রাহিমের লাশ দেখতে পেয়ে পার্শ্ববর্তী হাসিনা আক্তার তাদের পরিবারকে জানালে ঘটনাস্থলে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেখতে পান ইব্রাহিম খলিলের লাশ উপুর হয়ে পড়ে ছিলো। তখন এলাকার পল্লী চিকিৎসকে ডেকে নিয়ে আসলে চিকিৎসক ইব্রাহিমকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা লাশ দাফন করি।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার এই রহস্যজনক মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে আরো বলেন, পূর্বে একটি ধানের জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী রফিকুল ইসলামের সাথে বিরোধ হয়। এছাড়াও চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি বসতভিটা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আমার স্বামী বাদী হয়ে পার্শ্ববর্তী আবুল হাশেম, তার ছেলে হুমায়ুন কবির,মৃত আব্দুল মমিনের ছেলে শাহ আলম মিয়া, জহির মিয়ার বিরুদ্ধে থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল।যার নং-এসডিআর ৩০০/২৩।
এই সময় তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন যে, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আমার স্বামী ইব্রাহিম খলিলকে রফিকুল ইসলাম গং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে জমিতে লাশ রেখে যায়।
এই হত্যাকাণ্ডে দ্রুত বিচার দাবি করে নিহতের স্ত্রী প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা চান এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
সিএন/৯০