কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থিয়েটারের নাট্য কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ ও ভিসিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেছেন, 'নাট্য চর্চায় মাধ্যমে বিবেক জাগ্রত হয়। নাটক সমাজের দর্পন। সকল শ্রেণির মানুষের চরিত্র নাটকে প্রতিফলিত হয়। এটা শুধু বিনোদন না, সমাজকে সঠিক বার্তা প্রদান করে নাটক। নিজেকে তৈরি করে সমাজের সামনে উপস্থাপন করা যায় নাটকের মাধ্যমে। সে চর্চায় ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার এগিয়ে আছে। আমরা এখন কলেজ ক্যাম্পাস বা কুমিল্লার মধ্যে সীমাবন্ধ না। ঢাকার জাতীয় নাট্যশালা ও ভারতে গিয়েও হাত তালি কুড়িয়েছি। এ ধারাটা অব্যাহত রাখতে হবে। নাটকের মাধ্যমে আন্ধকার সমাজকে আলোর পথে নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর'২৩) ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের নাট্য কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ভিসিটি ১৬তম ব্যাচের তিনদিন ব্যাপী কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মৃণাল কান্তি গোস্বামী। শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন। সভাপতিত্ব করেন ভিসিটির উপদেষ্টা জিতেন্দ্রনাথ তরফদার। প্রশিক্ষক হিসাবে ছিলেন প্রথম দিনের কর্মশালার প্রশিক্ষক ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব, নাট্য নির্মাতা ও অভিনেতা এইচ আর অনিক ও ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সাবেক সভাপতি শাহাদাত সরকার।
দ্বিতীয় দিনে কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব নাট্য নির্মাতা ও পরিচালক এবং ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার(ভিসিটি) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার আলম ও বিদায়ী সাবেক সভাপতি এস এম রুবেল। শেষ দিনে প্রশিক্ষক ছিলেন ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সাবেক সভাপতি আল আমিন হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম বাঁধন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারহানা আহমেদ। কর্মশালাটি সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ভিসিটি সভাপতি প্রিতুল দাস, সহ-সভাপতি এনামুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক লিটন মিয়া। কর্মশালার আহ্বায়ক ছিলেন খায়রুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব ছিলেন রুবায়েত অপি।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)। ভিসিটি দেশ ও দেশের বাহিরে ৩৫ টি নাটক ২৩০ টি প্রদর্শনি করেছে।
সিএন/৯০