তিতাস, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কদমতলী গ্রামে হাঁসের খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাঁসের খামারটি স্থাপন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল আহমেদ এর কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়মের বাইরে কোন কিছুই আমি সমর্থন করব না। আইনের বাইরে কেউ নয়। নীতিমালা উপেক্ষা করে তৈরি করা খামারটি অবশ্যই ঘনবসতিপূর্ণ এরিয়া থেকে সরিয়ে নিতে হবে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২-৩ মাস আগে ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে শরীফ সুমন ও তার স্ত্রী নাসরিন শরীফ গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দেশীয় হাঁসের খামার স্থাপন করেন। বর্তমানে খামারে প্রায় ছয়শত হাঁসের বাচ্চা রয়েছে। হাঁসের বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না।
গত সোমবার কদমতলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, খামারটির আশপাশে হাঁসের বিষ্ঠা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি। এসব বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
গ্রামের বাসিন্দা নুরু মিয়া ও তার স্ত্রী বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেই খামার। বিষ্ঠা থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমরা উভয়ই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আর কিছু দিন থাকলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ব।
এমদাদুল হক জেন্টু, মুদি দোকানদার রমজান মিয়া, মফিজ মোল্লা ও প্রবাসি সুমন বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে খামারটি অপসারনের জন্য শহিদুল্লাহকে বলা হলেও তিনি কারো কথায় কর্ণপাত করছেন না। তাছাড়া, খামারটি স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় অবস্থিত খামারের বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই। খামারটি স্থাপনের ক্ষেত্রে জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন নীতিমালা-২০০৮ মানা হয়নি।
এবিষয়ে নাসরিন শরীফ ও মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, খামারটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে যাতে দুর্গন্ধ কম ছড়ায়। ৫০০ হাঁস আছে সবগুলো বিক্রি করে দেব। তবে খামারটির কোন অনুমোদন নাই তা তারা স্বীকার করেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, নীতিমালা উপেক্ষা করে খামার স্থাপন করা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিএন/৯০