লাকসাম প্রতিনিধি।।
পরিশ্রমী ও সাধারণ একটি পরিবার থেকে উঠে আসা ‘শরীফ উল্লাহ ভুইয়া’ জীবন যুদ্ধে এক সংগ্রামী অপরাজিত বীর । তিনি মাদ্রাসা লাইনে ফাজিল পাশ করেছেন। ছোটবেলায় হারিয়েছেন পরিবারের প্রধান কর্তা বাবা হাফেজ মোবারক হোসেন ভূইয়াকে। ছোট ভাই শহীদসহ দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন নাঙ্গলকোট বাজার হাজী মিজানের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান ‘হাজী ফটোস্ট্যাট’ এ। চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন দুইজনই।
২০১৫ সালে পানি শূণ্যতা ও কিডনী রোগে মৃত্যুবরণ করে ছোট ভাই শহীদ উল্লাহ ভূইয়া (২৬)। পরিবারের হাল ধরতে স্¦চ্ছলতার আশায় মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন শরীফ উল্লাহ ভুইয়া। এরই মাঝে বিয়ে করেছিলেন, ঘর আলোকিত করে আসে সন্তান। কিন্তু নানাবিধ টানাপোড়নের সংসার পুরোটা নিজ কাঁধে থাকায় করে ফেলেন অতিরিক্ত টেনশন। বিদেশেই স্ট্রোক করে বসেন। বিদেশে সাথে থাকা সহযোগীরা মালয়েশিয়ার স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। সেখানে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন তাকে। বাংলাদেশ সময় ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত ৯টার সময় মৃত্যুবরণ করেন শরীফ উল্লাহ ভূইয়া। ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৩৬ বছর।
শরীফের গ্রামের বাড়ি-কুমিল্লার লাকসামের আজগরা ইউনিয়নের আশকামতা গ্রামের ভূইয়া বাড়ি। ছাত্রজীবনে সে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ছাত্রদল’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি নাঙ্গলকোট রাইটার্স এসোসিয়েশন নামক সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি নাঙ্গলকোটের মক্রবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম ছুপুর আপন খালাতো ভাই। উল্লেখ্য যে-শরীফ উল্লাহ ভূইয়ার মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
সিএন/৯০