মুরাদনগরে প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

অনলাইন ডেস্ক।।
বাসাভাড়া বাবদ স্কুল থেকে নেয় মাসে চৌদ্দ হাজার টাকা। অথচ নিজ কক্ষের অর্ধেক বেড রোম বানিয়ে থাকেন। অন্তরা রানি দেবী নামের এক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী প্রাধান শিক্ষকের মানসিক টর্চারে আত্মহত্যা করার অভিযোগ স্থানীয়দের মুখে মুখে। এক মাতব্বরের পরামর্শে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত রোল এক থাকা মেধাবী ছাত্র জলিলকে টিছি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়া সে।

বিশেষ ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে হচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত তার পাঠ্য করা গাইড বই কিনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরকে। মেয়েকে ল্যাব অপারেটর পদে দিয়েছেন চাকরি। গত আঠারো তারিখ সন্ধ্যায় স্থানীয়রা স্লোগান দেয়, বাবা মেয়ে মিল্লা স্কুলটা খাচ্ছে গিল্লা। এই প্রধান শিক্ষকের নাম মো.সফিকুল ইসলাম। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর আশরাফ কামিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিনি। গতকাল বুধবার বেলা এগারোটায় যাত্রাপুর বাজারে প্রাক্তন ও শিশুশিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় লোকজন ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেন। তাঁরা প্রধান শিক্ষক মো. সফিকুল ইসলামের স্বেচ্ছাচারিতা ও নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীরা প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবি জানান। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।

মানববন্ধনে যাত্রপুর গ্রামের সামাজিক মাতব্বর মির্জা মনির, নাসির উদ্দিন ভূইয়া, পাভেজ ভূইয়া, ভোক্তভূগী আব্দুল জলিল মৃধা অভিযোগ করেন, ওই প্রধান শিক্ষকের কারণে শিশুদের লেখাপড়া নিয়ে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। যে কারণে বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে গ্রামের লোকজনের সঙ্গে শিশুশিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করছেন। ২০২১ সালে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ হয়েছিলো। গ্রামবাসীর হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে সবাইকে নিবৃত করলেও নিজে সংশোধন হননি। গত কয়েক বছর আগে যাত্রাপুর গ্রামের সংকর দেবনাথের মেয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী অন্তরা রানি দেবী প্রধান শিক্ষকের মানসিক টর্চারের আত্মহত্যা করেন। নানান কৌশলে বিষয়টি ধামাচাপা দেন। তার মেয়েকে সুকৌশলে এই বিদ্যালয়ে চাকরি দিয়ে শিক্ষকদের জিম্মি করে নিজের খেয়াল খুশি মতো চালান বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তার হাতে ঘড়া। তাই কেউ তার কাজে হস্তক্ষেপ করেন না। জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, এলাকার সামাজিক রাজনীতির কারণে প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে এসব করছেন। তাঁদের অভিযোগ মিথ্যা।

এসকেডি/অননিউজ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  
Scroll to Top