কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে জমি নিয়ে দু'পক্ষের বিরোধের জের ধরে গত ১০ জুলাই রবিবার বহিরাগত ২৫/৩০ জন লোকজন নিয়ে ঐ গ্রামের মাইন উদ্দিন হাসান গংদের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর করে একই গ্রামের মৃত গনি মিয়ার ছেলে মোঃ খলিলুর রহমান। এসময় প্রতিপক্ষের ইসলামি ফাউন্ডেশনের পাক প্রাথমিক কেন্দ্র ভাংচুর করে এবং সাইনবোর্ড ডোবায় ফেলে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এঘটনায় মঙ্গলবার বুড়িচং থানায় খলিলুর রহমানকে আসামি করে ২৫/৩০ জন অজ্ঞাত করে একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিবরণে জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের মোঃ আবদুস সামাদের ছেলে মাইন উদ্দিন হাসান, আবদুল মান্নান মাস্টার জানান একই গ্রামের মোঃ আব্দুল জলিল কবিরাজ ২০১২ সনে ৪০ নং খতিয়ান মূলে ২৩ শতক জমি কালিকাপুর জয়নাল হোসেন শামীম এর নিকট জমি বিক্রি করে। তিনি জমিটি খারিজ করেন। খারিজ খতিয়ান নং হলো ৫০১। জয়নাল হোসেন শামীমকে বিক্রিয়ের পর জমি বুঝিয়ে দেন। বিক্রেতা আবদুল জলিল পুনরায় ২০২২ সালে জয়নাল হোসেন শামীম এর নামে খারিজ কৃত দলিলের একই চৌহদ্দি দিয়ে স্হানীয় আনন্দপুর গ্রামের মৃত গণি মিয়ার মেয়ে কুলসুম আক্তারের নিকট ৭ শতক ৪৬ সেন জমি বিক্রয় করে। কুলসুম আক্তার তার জমি বিক্রেতা আবদুল জলিল কবিরাজ এর নিকট থেকে বুঝে না নিয়ে বিক্রিত জায়গায় জোর পূর্বক দখল করার জন্য তার ভাই খলিলের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন বহিরাগত লোকজন নিয়ে দা ছেনি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাংচুর করে।
উল্লেখ্য একই স্থানে ২৩ শতক জমি জয়নাল হোসেন শামীম থেকে মাইন উদ্দিন হাসান ও আবদুল মান্নান মাস্টার গং ক্রয় করেন। গত ১০ এপ্রিল রবিবার কুলসুম আক্তারের ভাই মাটি খলিলের নেতৃত্বে ২৫/৩০ বহিরাগত নিয়ে মাইন উদ্দিন হাসান ও আবদুল মান্নান মাস্টার এর বিরোধকৃত ৭ শতক ৪৬ সেন জমি দখলে নিয়ে নেয়। বাদীপক্ষ অভিযোগ করে বলেন প্রতিপক্ষ এসময় তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং তাদের জায়গায় পরিচালিত ইসলামি ফাউন্ডেশনের পাক প্রাথমিক কেন্দ্র ভাংচুর করে এবং সাইনবোর্ড ও ডোবায় ফেলে দেয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার টাকার অধিক। এসময় মাউন উদ্দিন হাসান ও আবদুল মান্নান মাস্টার এর গং সরকারি চাকুরী করায় তারা বাড়িতে ছিলো না। খবর পেয়ে তারা ৯৯৯ পুলিশকে খবর দেয়। এবং তারা নিজেরা ও বাড়িতে আসে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় এসআই দিবাকর রায় এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর থেকে আসামি পক্ষের লোকজন বাদী পক্ষের লোকজনদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।এতে করে তারা নিরাপত্তা হীনতা ভুগছে।