সাইফুল ইসলাম, কুমিল্লা।।
কুমিল্লা নগরীর মাঝিগাছা গ্রামের কাউছার হত্যাকাণ্ডের মূল ঘাতক মোঃ জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচগিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার(২৯ আগষ্ট) জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১৪জুলাই কোতয়ালী মডেল থানার ৪নং আমড়াতলী ইউপির মধ্যম মাঝিগাছা গ্রামের সিঙ্গাপুর গলির তিন রাস্তার মোড়ে রাস্তার উপর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আনোয়ার হোসেনের ছেলে কাউছার আহমেদকে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা আইরিন সুলতানা পান্না বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ১২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে যার, কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৫৩, তারিখ- ১৫/০৭/২০২৩খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারকল্পে সম্মানিত পুলিশ সুপার, কুমিল্লা মামলাটি পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করলে, এরই প্রেক্ষিতে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এনায়েত উল্ল্যাহ’সহ জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম গত ২৮আগষ্ট কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী, লাকসাম, নাঙ্গলকোটসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত এজাহারনামীয় পলাতক ১নং আসামী মোঃ জিয়াউল হক ওরফে জিয়াকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ জিয়াউল হক জিয়ার দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে কাউছার আহমেদ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত সুইচগিয়ারটি উদ্ধার করা হয়।
এ মামলায় পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ আজাদ @ মলম ২। নজরুল ইসলাম মিঠু ও ৩। ইমরান হাসান’দের ফৌজদারি কার্যবিধি'র ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত জবানবন্দি পর্যালোচনায় উক্ত ঘটনায় আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু বিজয় হোসেনকে ও গ্রেফতার করা হয়।
পরে আসামীদের আলোচ্য মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আসামীরা তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি'র ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।