সাইফুল ইসলাম।।
কুমিল্লা-২ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী জনাব সেলিমা আহমাদ মেরী বলেছেন, মেঘনা উপজেলা গঠন আওয়ামী লীগের অবদান। তাই আওয়ামী লীগই পারবে এই উপজেলার প্রকৃত উন্নয়ন ঘটাতে। আর এজন্য আপনাদেরকে অবশ্যই নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। আওয়ামী লীগের অন্য কোন মার্কা নেই। তার মার্কা শুধুই নৌকা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মার্কা নৌকা।
বাংলাদেশের সাথে সাথে মেঘনা উপজেলাও এগিয়ে যাবে, সাথে এগিয়ে যাবে এই এলাকার জনগণ। মেঘনার জনগণের মধ্যে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তারা পরিশ্রম করতে জানে। কুমিল্লার উন্নয়নে মেঘনার জনগণ বিশাল ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
আমরা মেঘনা উপজেলার শিক্ষারমান উন্নত করবো। কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো হবে, যাতে করে ছেলে মেয়েরা বেকার বসে না থাকে। শিশুদের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে খেলার মাঠ করা হবে।
পুরুষ ও নারী ভোটের মূল্য সমান কিন্তু উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে। মেঘনার নারীরা যাতে ঘরে আয় করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হবে। আমি বাংলদেশের অনেক জায়গায় নারীদের উন্নয়নে কাজ করেছি। এটা আমার জন্য নতুন কিছু নয়। আমি এই উপজেলায়ও এটা বাস্তবায়ন করবো। এই এলাকার
চিকিৎসার ব্যবস্থা ততটা উন্নত নয়। আমরা এখানকার হাসপাতাল এবং এগুলোর চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করবো। আর আমাদের এই কাজের মাধ্যমেই গ্রাম হবে শহর, আসছে আলোর প্রহর। আলো এসেছে, আলো আসবে।
আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার মেঘনার মানিকার চর এল এল মডেল হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ রুহুল আমিন (সভাপতি, কুমিল্লা (উ:) জেলা আওয়ামী), শেখ আঃ আউয়াল( সহ সভাপতি,কুমিল্লা জেলা (উ:) আওয়ামী), আব্দুল্লাহ আল বাকী শামীম (আহ্বায়ক, মেঘনা উপজেলা যুবলীগ), আব্দুল বাতেন (প্যানেল চেয়ারম্যান, মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদ), হালিমা আক্তার (আহবায়ক,মেঘনা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ), সেলিম মুন্সি (সভাপতি, মেঘনা উপজেলা কৃষক লীগ), গাজী মো: আলী হোসেন (আহ্বায়ক, মেঘনা উপজেলা,স্বেচ্ছাসেবক লীগ), মহসীন সোহাগ (সভাপতি, মেঘনা উপজেলা ছাত্রলীগ), চন্দনপুর, মানিকার চর, বড়কান্দা, ভাঙরখোলা, লুটের চর, গোবিন্দপুর, রাধানগর, চালিভাঙ্গা এর চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং থানা আওয়াজী লীগ নেতৃবন্দ।
এছাড়াও জনসভায় স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে মিছিলে মিছিলে স্কুল মাঠটি জনসমুদ্রে রুপ নেয়।