আজিজুল হক (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে পুলিশ পরিচয়ে মাছ ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ে গ্রেফতার হয়েছে দস্যুতা মামলার প্রধান আসামি। গ্রেফতারকৃত মোঃ নাজমুল হাসান লিটন(২৭) উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের বিএনপি নেতা মোঃ ওমর আলীর ছেলে। পূর্বে তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
প্রেস রিলিজ সূত্রমতে, মাছ ব্যবসায়ী সঞ্জিত চন্দ্র সরকার(৫২) ৫মে ১টা ৪০ মিনিটে সময় মুরাদনগর আল্লাহ চত্বরে আসলে পথিমধ্যে ড্রাইভার মোঃ সোহেল মাছ বোঝাইকারী পিকাপ ভ্যানটি থানা ফটকের দক্ষিণ পাশে মুরাদনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাকা সড়কে দাঁড় করান। তখন মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার আরোহীরা পিকাপ ভ্যানটি তল্লাশি শুরু করে। পিকাপ ড্রাইভার মোঃ সোহেলের প্যান্টের বাম পকেট হতে ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা নেওয়ার পর সন্দেহ হয় তাদের। সঞ্জিত সরকার তাদের চ্যালেঞ্জ করলে দ্রুত মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট যোগে পালিয়ে যায় আসামীরা।
উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সংবাদপ্রাপ্ত হয়ে তড়িৎ গতিতে মুরাদনগর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম লুণ্ঠিত টাকা ও ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। ১২মে রাত ১টা বেজে ১০ মিনিটে উপজেলার নিমাইকান্দি এলাকার মাসুদের বিল্ডিংয়ের সামনে মামলার ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটকের পর আসামি তার সহযোগীদের সহায়তায় ঘটনাটি সংগঠিত করেছে বলে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি প্রদান করে।
মুরাদনগর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, মামলার অপর আসামিদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। নাজমুলকে ধরার সময় দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া অপর আসামি ১৫পিস ইয়াবা ফেলে যায়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার, কুমিল্লা আব্দুল মান্নান বলেন, মামলার প্রধান আসামি নাজমুলকে গ্রেফতার করে ঘটনায় ব্যবহৃত রেজিস্ট্রেশন ও নাম্বার বিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়, লুণ্ঠিত ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে।
এআই/কুমিল্লা নিউজ২৪