ট্রলারডুবিতে সোহেলের সাজানো সংসারের সমাপ্তি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
স্ত্রী ও দুই সন্তানদের নিয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানার সাজানো সংসারের সমাপ্তি ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় তার পরিবারের কেউই আর বেঁচে নেই। গত তিনদিনে একে একে সকলের মরদেহ উদ্ধার হয়। সোমবার সকালে সোহেল ও তার ছেলে রায়সুলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে শনিবার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার ও রোববার মেয়ে মাহমুদার মরদেহ উদ্ধার হয়।

সোহেল কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেন। এদিক এক সঙ্গে চারজনের মৃত্যুে সোহেলের গ্রামের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের পরিবেশ। ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি সাজু মিয়া জানায়, এভাবেই পুরো পরিবারটি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার খবরে আমরা মর্মাহত। তার পরিবারের সবার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। স্ত্রী মৌসুমী আক্তারের মরদেহ উদ্ধারের পর শনিবার রাতে দেবিদ্বারে গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। আজ সোমবার বাদ জোহর ভৈরব হাইওয়ে থানার সামনে সোহেল ও তার দুই সন্তানের জানাজা শেষে মরদেহ দাফনের জন্য স্বজনরা গ্রামের বাড়িতে যান।

সোহেলের ভগ্নিপতি ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের এএসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনজনের মরদেহ নিয়ে দেবিদ্বারের পথে আছি। বাদ আছর জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে তাদের দাফন করা হবে। শুক্রবার বিকেলে সোহেল তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও ভাগনি মারিয়াকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারচর দ্বীপ গ্রাম দেখতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে নৌকায় থাকা কয়েকজন ছবি তোলার জন্য মাঝিকে অনুরোধ করলে মাঝি তার হাতের বৈঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় নৌকাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে নৌকা উল্টে যায়। এ সময় মারিয়া প্রাণে বেঁচে গেলেও অপর চারজন পানিতে তলিয়ে যায়।

এসকেডি/অননিউজ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  
Scroll to Top