মুরাদনগর, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
ছাদির নামে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে, তবে পরিবারের দাবি খুন। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের নেয়ামতকান্দি গ্রামে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নেয়ামতকান্দি বাজারের পাশে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ছাদির মিয়া নেয়ামতকান্দি গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে।
সরজমিনে গিয়ে স্থানিয় ও পরিবার সূত্রে জানাযায়, প্রতিদিনের মত ছাদির মিয়া তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘সোনাকান্দা ভ্যারাইটিজ স্টোর’ মুদি দোকানে আসেন। দোকানের কাজ শেষ করে রাত ৯ টায় বাড়ি ফিরা তার নিত্যদিনের রুটিন। কিন্তু ঘটনার দিন সে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে স্বজনরা তাকে খুজা খুজি শুরু করেন। তাকে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে ছাদির মিয়ার মোবাইল নাম্বারে ফোন করে নাম্বারটি বন্ধ পায় । রাত যত গভীর হতে থাকে স্বজনদের দুঃচিন্তা তত বারতে থাকে। পরে আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে বাজার পাহারাদার কবির হোসেনের মাধ্যমে জানতে পারে দোকানের পিছনে ২ শত ফিট দুরে সাদির মিয়ার মৃত দেহ পরে আছে। খবর পেয়ে স্বজনরা কান্না কাটি করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ সেখান থেকে ছাদির মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেরণ করেন।
নিহতের ছেলে সালাউদ্দিন ও সাইদ জানায়, শত্রæতা করে আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে। আগেও আমাদের দোকানে ৪ বার চুরি হয়েছে । আমার বাবার মৃত দেহ যেখানে পাওয়া গেছে সেখানে যাওয়ার কথা না। কেহ বা কাহারা আমার বাবাকে মেরে ঐখানে ফেলে রেখেছে।
নিহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম কান্না বিজরিত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামীকে কেউ পরিকল্পনা করে মেরে ফেলেছে। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক সাস্তি হক এটাই আমি চাই।আমার আর কিছু বলার নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪/৫ জন বলেন,ছাদির মিয়া অত্যান্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তার স্বাভাবিক মৃত্যু হলে লাশটা এমন নির্জন স্থানে যাওয়ার কথা না। আমাদের ধারনা তাকে কেউ মেরে সেখানে ফেলে রেখেছে।
মুরাদনগর থানা ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। আমরা ছাদির মিয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্তের রির্পোট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
সিএন/৯০