আজ ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ২:০৮

সোনাগাজীতে বিষ্ণুপুর হাইস্কুলে ঘুস লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

সোনাগাজী, ফেনী প্রতিনিধি।।
ফেনীর সোনাগাজীতে বিষ্ণুপুর হাইস্কুলে ছয়টি পদে ১৬ লাখ টাকা ঘুস লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় সভাপতির অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে শনিবার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের কুঠির হাট বিষ্ণুপুর হাইস্কুলে ছয়টি শূন্য পদে শনিবার সকালে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুক্রবার রাত থেকে ১৬ লাখ টাকা ঘুস লেনদেনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপরও নির্ধারিত সময়ে ছয় পদে ৩০ জন চাকরি প্রার্থী পরীক্ষা দিতে স্কুল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব পরীক্ষা গ্রহণকারী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির প্রতিনিধি উপস্থিত হলেও অনুপস্থিত ছিলেন সভাপতি। তিনি ঢাকায় থাকায় ভার্সুয়াল মাধ্যমে অংশ নিতে চাইলেও ঘুস লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাজি না হওয়ায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সহকারি প্রধান শিক্ষক, ল্যাব অপারেটর, নৈশপ্রহরী, আয়া, নিরাপত্তাকর্মী ও অফিস সহায়কের ছয়টি পদে গত ২১জুন দৈনিক সমকাল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ৯জন, ল্যাব অপারেটর পদে ৪জন, নৈশপ্রহরী পদে ৪জন, আয়া পদে ৪জন, নিরাপত্তাকর্মী পদে ৫জন এবং অফিস সহায়ক পদে ৪জন চাকরি প্রার্থী আবেদন করেন।

বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসাইন মোহামদ আলমগীর বলেন, সভাপতি অনুপস্থিত থাকায় এবং ঘুস লেনদেনের বিষয়ে বিতর্ক ওঠায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সভাপতি ঢাকা থাকায় ভার্সুয়াল মাধ্যমে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাজি না হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নূরুল আমিন বলেন, সভাপতি অনুপস্থিত থাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুস লেনদেনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ঢাকার ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন রতন বলেন, আমি ঢাকার একটি মিটিংয়ে উপস্থিত থাকায় নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করতে যেতে পারিনি। তাই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, নিয়োগ কমিটি বা প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি জড়িত নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে জেনেছি সভাপতির অনুপস্থিতি ও ঘুস লেনদেন সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপের বিতর্ক ওঠায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছ প্রক্রায়ায় না হলে আরো বেশি বিতর্ক হবে।

সিএন/৯০

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
Scroll to Top