কুমিল্লা প্রতিনিধি ।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে অপহরণ ও ডাকাত দলের দুই সদস্যেেক গ্রেপ্তার করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। এসময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দেবিদ্বার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার ওসি মো. খালিদ সাইফুল্লাহ। গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যরা হলো, দেবিদ্বার পুরাতন বাজার এলাকার মো. তাজুল ইসলামের ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন ও পৌরসভার বালিবাড়ি গ্রামের মৃত মো.আলিম মিয়ার ছেলে মো.রুবেল (ড্রাইভার)। তাদের বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ঘটনার বিবরণে পুলিশ জানায়, গত ২৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দল বারেরা শামসুল উলুম হাফিজিয়া এতিমখানা ও মসজিদের সামনে রাম দা, কুড়াল, লোহার রড ও দেশীয় বানানো শিক নিয়া মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে মসজিদের খাদেম সাব্বিরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৪টি মোবাইল নিয়ে যায়। পরে খাদেমের সাথে থাকা রফিকুল ইসলাম ও মো. রকি নামে দুইজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ডাকাত দল রাত ২টা ১৫ মিনিটে অপহৃত রফিকুল ইসলামের স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে রফিকুল ইসলামের মা মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ পাঠায়। এরপরও ডাকাত দল তাদের না ছেড়ে আরও টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় সাব্বির দেবিদ্বার থানায় অভিযোগ করলে ওসি খালিদ সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে দেবিদ্বার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে ডাকাত দলের সদস্য বিল্লাল হোসেনকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামী রুবেল ড্রাইভারকে একই এলাকা থেকে আটক করা হয় এবং তার হেফাজতে থাকা অপহৃত রফিকুল ইসলাম ও রকিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মসজিদের খাদেম সাব্বির বাদি হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৯।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, অপহরণ ও ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার কওে আদালওে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় আসামী রুবেল ড্রাইভার বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে। লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান ও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।