
কুমিল্লার বাঙ্গরায় মা-ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যায়নি এখনো।
কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা উপজেলার নবীয়াবাদ গ্রামে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধারের প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনর পর থেকেই রাবেয়ার পরিবার দাবি করে আসছে, মা ও ছেলেকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গত মাসের ২৬ তারিখ শনিবার দুপুরে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার পশ্চিম বাঙ্গরা ইউনিয়নের নবীয়াবাদ গ্রামে প্রবাসী আবদুল মতিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৬) ও ছেলে আব্দুল্লাহ (০৩) নিহত হয়। এ বিষয়ে রাবেয়ার পিতা ইদ্রিস মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, রাবেয়ার পা দুটো মাটিতে লেগে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ফাঁসির চিত্র দেখে যে কেউ অনায়াসেই বুঝতে পারবে, মা ছেলেকে মেরে রশ্মিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, রাবেয়ার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য অনেক দিন ধরেই তার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিলো, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তিন লক্ষ টাকা টাকা প্রদান করলেও অবশিষ্ট দুই লক্ষ টাকার জন্য নির্যাতন অব্যাহত থাকায় বিষয়টি ষ্পষ্ট যে, এটি আত্নহত্যা নয় বরং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী আব্দুল মতিন গত ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে রাবেয়াকে বিবাহ করে। তাদের এই সাংসারে জীবনে তিন বছর বয়সী আব্দুল্লাহ নামে একটি ছেলে সন্তান আছে।রাবেয়ার স্বামী আব্দুল মতিন প্রবাস থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসে গত এক বছর আগে পূনরায় প্রবাসে ফিরে যান।
গত এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখ শুক্রবার দিবাগত রাতে রাবেয়া তার নিজ ঘরে থাকা একটি কাঠের তীরের সাথে ছেলেকে নিয়ে একই রশ্মিতে ঝুলে থাকে যা শনিবার সকালে তার শ্বশুর আলী আকবর এর দৃষ্টিতে পড়ে এবং তিনি সহ স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ এসে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এই বিষয়ে বাঙ্গরা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন আছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।