মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে কালভার্ট করার জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সরকারি খাল দখল করার পাঁয়তারা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। খালের উপর ব্যাক্তি মালিককে কালভার্ট নির্মাণে প্রশাসন কর্তৃক অনুমতি দেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রশাসন বলছেন, তারা বাড়ি যাওয়ার সুবিধার্থে নিজস্ব অর্থায়নে একটি কালভার্ট নির্মাণ করার অনুমতি দিয়েছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুরাদনগর উপজেলা সদরের গোলক রায়ের বাড়ীর সামনে হোমনা সড়কের পাশে ১নং খাস খতিয়ানের ৯৬৪৩ দাগের একটি বিশাল সরকারি খাল রয়েছে। দীর্ঘ ওই খালের প্রায় ১৫৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্ত কয়েক কোটি মূল্যের সরকারি জায়গা দখল করে নেন মুরাদনগর গ্রামের শ্রী চন্দ্র রায়ের ছেলে প্রভাবশালী প্রণবেশ রায়। তিনি চারদিকে টিনের বেষ্টনী দিয়ে বাড়ি যাওয়ার রাস্তায় কালভার্ট নির্মাণের কথা বলে সেখানে ১৫৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্ত একটি বিশাল ড্রেন নির্মাণ করে খাল দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। তবে তাঁর দাবি, উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই তিনি খালের উপর ড্রেন নির্মাণ করছেন। এলাকাবাসীর প্রশ্ন- বাড়ি যাওয়ার রাস্তা কি ১৫৫ ফুট দৈর্ঘ্য জায়গা লাগে?
স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি শত বছরের পুরনো একটি সরকারি খাল। এক সময় এটি প্রবহমানও ছিল। বর্তমানে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর দখলকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয়ে প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। খালটির কিছু অংশ দখল করে ভরাট করায় একটু বৃষ্টি হলেই উপজেলা সদরের মাস্টার পাড়া এলাকার প্রায় সহস্্রাধিক পরিবার পানিবন্দি থাকতে হয়। খালের এই অংশটিও যদি দখলদারদের দখলে চলে যায়, তখন মাস্টার পাড়া এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা তৈরী হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রণবেশ রায় খাল দখল করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটি সরকারি খাল, আমরা কেন দখল করব! বাড়িতে যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই খালের উপর ড্রেন নির্মাণ করছি। বাড়ি যেতে কি ১৫৫ ফুট দৈর্ঘ্য জায়গা লাগে এমন প্রশ্নে? তিনি কোন প্রকার জবাব দিতে পারেননি।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দীন ভূঁঞা জনী বলেন, ওই খালের পাশে একটি সড়ক রয়েছে। বাড়ি যাওয়ার সুবিধার্থে শর্ত সাপেক্ষে ওই খালের ওপর একটি কালভার্ট নির্মাণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থে খাল দখল করে ড্রেন নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়নি।
সিএন/৯০